শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে আশা দেখছে বাংলাদেশ

ডেক্স রিপোর্টঃ পঞ্চাশের আগেই টপ অর্ডার হাওয়া হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয়, সাদমান ইসলাম আর তিনে নামা মুমিনুল হককে বিদায় নিতে দেখেছিল ম্যাচের শুরুর দেড় ঘণ্টার ভেতরই। তবে এরপরও প্রথম সেশনটা কিছুটা আশা নিয়ে শেষ করেছে সফরকারীরা, তার কারণ নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম। দুজনের জুটিতে আর কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
উইকেটটা খটখটে শুকনো। একটা বিপদ হতে পারত গলের আকাশে মেঘ থাকলে। তবে তাও ছিল না। তাই এমন উইকেটে প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবেননি অধিনায়ক শান্ত।
তবে উইকেট আর কন্ডিশন যতই ব্যাটিং বান্ধব হোক, ব্যাটিংটা তো যুতসই হওয়া চাই! সেটা আর হলো কই? সে কারণেই তো পঞ্চাশের আগেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে খোয়াতে হলো!
শুরুটা হলো এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে তিনি জিম্বাবুয়ে সিরিজে জায়গা করে নিয়েছিলেন দলে। দ্বিতীয় ম্যাচে একটা ইনিংসই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানে ৩৯ রান করে দলে জায়গা পাঁকা করেন তিনি। খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বড় রান হয়নি, সেই তিনি আজ বড় কিছু করতে পারেননি। তাকে সেট আপ করে সামনের পায়ে এনে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আসিথা ফার্নান্দো। ১০ বল খেলে তিনি রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন।
এরপরের পালা সাদমানের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, সে ধারাটা শ্রীলঙ্কাতেও টানতে ব্যর্থ হন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে তিনি শিকার বনে যান অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের। তিনিও সামনের পায়ে খেলার দোষেই উইকেটটা খোয়ালেন। বল নিচু ছিল, খানিকটা টার্নও ছিল, তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে জমা পড়ে বলটা।
এনামুলের বিদায়ের পর থেকে দারুণ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছিলেন মুমিনুল। ২২ রানে থারিন্দুর বলে একবার জীবনও পেয়েছিলেন ধনাঞ্জয়ার হাত থেকে। ২৯ রানে সেই থারিন্দুকে আবারও লেট কাট করতে চেয়েছিলেন মুমিনুল, তবে এবার আর ভাগ্যটা সঙ্গ দেয়নি তাকে। ৪৫ রানে বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে।
এরপর দলটা তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক শান্ত আর মুশফিকের ব্যাটের দিকে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার দলকে নিরাশ করেননি। দুজন মিলে ৭১ বলে ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন চতুর্থ উইকেটে। দুজনেই এসময় খেলেছেন ইতিবাচক ক্রিকেট। ৩ চার আর ১টি ছয়ে ২৫ রান করেছেন শান্ত। ওপাশে মুশফিক নিয়মিত স্ট্রাইক বদলে রান করেছেন ২০। দুজন মিলে প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে সামলেছেন বেশ বুঝে শুনে, তবে অনভিজ্ঞ থারিন্দুর বিপক্ষে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন। আর তাতেই দুজন দারুণ সেট হয়ে গেছেন উইকেটে। সেশন শেষ করেছে ৩ উইকেট খুইয়ে ৯০ রান তুলে।
দুজনের ব্যাটে চড়ে প্রথম সেশনটা শ্রীলঙ্কার একার হতে দেয়নি বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় সেশনে আধিপত্যটা নিশ্চয়ই আরও বাড়াতে চাইবে সফরকারীরা।
Viewed 610 times