শেরপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ গোপণে ভিডিও ধারণ ব্লাকমেইল করে পূণরায় ধর্ষণ গ্রেফতার -১

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলের ঘটনায় সুজন (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার সুজন উপজেলার সিমাবাড়ি ইউনিয়নের ধুনকুন্ডি গ্রামের মো, এজাব আলীর ছেলে।
এর আগে গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) রাতে থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা। এজাহারের প্রেক্ষিতে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইটার দিকে নিজ বাড়িতে থেকে সুজনকে আটক করে পুলিশ।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাড়িতে রান্না করে ওমেরা গ্যাস কোম্পানির লোকজনদের খাওয়াতেন।
সেই সুবাদে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলাম (৪৬) ওই বাড়িতে যাতায়াত করতো।
যাতায়াতের এক পর্যায়ে তাজুল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে।
সেই প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে স্কুল ছাত্রীর শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এদিকে গোপনে সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তাজুলের সহযোগী সুজন।
এমতাবস্থায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত নয়টার সুজন তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করে সুজন।
পরবর্তীতে স্কুল ছাত্রীর ওই ভিডিও সুজন তার সহযোগী একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সুলতান, মৃত কুদ্দুসের ছেলে মো. রুবেল ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুর মোবাইল ফোনে পার করে দিয়ে দেয়।
সুজনের সহযোগীরা ভিডিওটি পাওয়ার পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিবে বলেও হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার ২ নং আসামী সুজন। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণগ্রাফি আইনে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Viewed 840 times