মহাররম মাসে আমাদের করনীয়

মুহাররম (মহাররম) মাস হলো ইসলামি হিজরি সালের প্রথম মাস এবং এটি একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও সম্মানিত মাস। এটি চারটি ‘হারাম’ (সম্মানিত) মাসের একটি (যে মাসগুলোতে যুদ্ধ বিদ্রোহ বা সংঘর্ষ করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে)। এই মাসে বিশেষ কিছু আমল, করণীয় ও কিছু বর্জনীয় কাজ রয়েছে।
মুহাররম মাসে করণীয় বিষয়সমূহ
রোজা রাখা:
মুহাররম মাসে রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
হাদিসে এসেছে:
“রামাদান মাসের পর আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো মুহাররম মাসের রোজা।”
(সহীহ মুসলিম: হাদীস নং ১১৬৩)
বিশেষ করে আশুরার দিন (১০ই মুহাররম) রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
উত্তম হলো দুটি রোজা রাখা
৯ ও ১০ মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ তারিখে দুই দিন রোজা রাখা।
তওবা ও ইস্তিগফার করা
এই মাস আল্লাহর রহমত পাওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ। সেই জন্য বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা উচিত।
নফল ইবাদত
বেশি বেশি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, যিকির, দান-সদকা করা উচিত।
মুহাররম মাসে বর্জনীয় বিষয় হলো
শোক পালন বা মাতম করা থেকে বিরত থাকা এটি শরীয়তসম্মত নয়। ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাত উপলক্ষে শরীর আঘাত করে, মাতম করে শোক পালন করা বা তাজিয়া মিছিল বের করা বিদআত ও হারাম।
আশুরার দিনকে বিশেষ কোনো খাবার বা অনুষ্ঠান এর মধ্যেমে উদযাপন না করা
কিছু মানুষ আশুরার দিন বিশেষভাবে খাওয়া-দাওয়া, রান্না, গোসল বা আনন্দ অনুষ্ঠান করে—এগুলো বিদআত।
আশুরার দিন গোসল করলে সারাবছর অসুস্থ হবে না, এমন বিশ্বাস থেকে দূরে থাকা এটি ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার।
আশুরাকে উৎসব বানানো থেকে বিরত থাকা
এটি নবীদের, সাহাবাদের, তাবেয়ীনের শিক্ষা নয়। এই দিনকে না শোকের উৎসব করা উচিত, না অতিরিক্ত আনন্দের।
সংক্ষেপে: সুন্নত করণীয়
৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ মুহাররম রোজা রাখা
বেশি নফল ইবাদত করা, দোয়া, ও ইস্তেগফার করা, কুরআন তেলাওয়াত করা,
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কাজ হল সকল ধরনের গুনাহ থেকে দূরে থাকা
মাও. মুফতি মোহাম্মাদ উল্লাহ্
খতীব: চকলোকমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,বগুড়া।
পরিচালক: সরকার বাড়ি তালিমুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
Viewed 1160 times