সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ব্যবসা, ৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখা যায়। এভাবেই সতর্কতার সঙ্গে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে আখাউড়া উপজেলার সেনারবাদী সীমান্তের ফেন্সি কালু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সল উদ্দিনের নেতৃত্বে আখাউড়া থানা পুলিশ, বিজিবি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) সদস্যরা ফেন্সি কালুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে টাস্কফোর্স দলের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে মাদক চোরাকারবারি কালুর পরিবারের লোকজন।
টাস্কফোর্স দল অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, অর্ধশত মোবাইল ফোন, মাদক বিক্রির নগদ অর্থ লুটপাট ও সিসি ক্যামেরা জব্দ করেন। এ সময় ৫ জন মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করে টাস্কফোর্স। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছে।
গ্রেফতাররা হলো শীর্ষ মাদক কারবারি কালুর ভাই ইদন, মূর্শেদ, জনি, মাদক সম্রাজ্ঞী আইমান আক্তার ও কালুর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার।
এ বিষয়ে গত ১৫ জুন ‘আখাউড়ায় বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা’ শিরোনামে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ইন্সপেক্টর মো. ওবায়দুল কবীর যুগান্তরকে বলেন, সীমান্তঘেঁষা বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক কারবার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফয়সল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, চোরাকারবারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনসহ সিসি ক্যামেরা ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই পাঁচজন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হলেও শীর্ষ মাদক কারবারি কালু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান যুগান্তরকে জানান, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মাদক চোরাকারবারি বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Viewed 120 times