July 5, 2025

Daily Amar Vasha

উত্তর জনপদে সত্য প্রকাশে দৃঢ়

দেশে এবার যে অজুহাতে মাছ ডিম মুরগির চড়া মূল্য

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। বৃষ্টির কারণে ছুটির দিনেও নেই ক্রেতা সাধারণের ভিড়। তবুও বৈরী আবহাওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতা। সরবরাহ কমার কথা বলে হাঁকাচ্ছেন বাড়তি দাম।

 

 

পরিস্থিতি এমন, শুক্রবার ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ডিম ডজনপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। সব ধরনের মাছ কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে বাড়তি মূল্য। পাশাপাশি কুরবানির ঈদ ঘিরে দারুচিনির দাম বাড়ানো হয়েছে আরেক দফা। সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কমলেও ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। তবে স্থিতিশীল আছে সবজির দাম।

 

 

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

 

 

বিক্রেতারা জানায়, শুক্রবার প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা। যা একদিন আগেও ডজনপ্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৯০ টাকা। যা এক দিন আগেও সর্বোচ্চ ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৬০ টাকা। সঙ্গে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬২০-৭০০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৬০০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।

 

 

নয়াবাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. খলিল বলেন, পাইকারি আড়ৎ কাপ্তান বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। পাইকাররা বলছেন খামার থেকে সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি বৃষ্টিতে পরিবহন খরচ বাড়ায় দাম কিছুটা বেশি। এজন্য আমাদের বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

 

 

এদিকে বৈরী আবহাওয়াকে পুঁজি করে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা, কৈ ২৫০-২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা ও পাঙাশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। এছাড়া দেশি শিং প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ এবং দেশি কৈ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি।

 

 

কাওরান বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে মাছের সরবরাহ কমেছে। আড়তে মাছ কম। তাই দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০-৬০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে।

 

 

এদিকে খুচরা বাজারে চালের দাম কমলেও মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, মাঝারি দানার প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৬ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলানায় কেজি প্রতি ২-৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মসুর ডাল (বড় দানা) । মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে দারুচিনি ও লবঙ্গের দামও। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৫৫০ টাকা ছিল।

Viewed 1150 times

Spread the news
Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.
error: Content is protected !!