April 19, 2025

Daily Amar Vasha

উত্তর জনপদে সত্য প্রকাশে দৃঢ়

বগুড়ার আলোচিত ঘটনা স্কুল ছাত্র *ফাহিম*খুনের রহস্য উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় ছাত্রীকে টয়লেটে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ডিসিষ্ট ফাহিমকে হত্যা করা হয়! ওই মামলার আসামি রাব্বি গ্রেফতার !

বগুড়ায় ১০ম শ্রেণির স্কুলছাত্র ডিসিষ্ট ফাহিম (১৮) হত্যারহস্য যট খুলেছে। ছাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে টয়লেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শিক্ষককে বলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ সিনিয়র শিক্ষার্থীরা ফাহিমকে হত্যা করে। মীমাংসার কথা বলে গত সোমবার সন্ধ্যার পরে শহরের কলোনী এলাকায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের, বাবা ফরহাদ ওরফে মানিক সদর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, রাব্বী (১৯), আজ মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ডিসিষ্ট ফাহিম বগুড়া সদরের চকফরিদ প্রামাণিক পাড়ার ফরহাদ ওরফে মানিকের পুত্র। লতিফপুর এলাকায় ফয়জুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনির শফিকুল ইসলাম লিপ্পনের পুত্র মো. সিমান্ত (২১), চকলোকমান কলোনির রুস্তম আলীর পুত্র মো. রাব্বি (১৯), শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়ার তরিকুল ইসলাম (১৯), একই এলাকার খাজা মিয়ার পুত্র মো. জাকির (২০), বেজোড়ার শ্রাবণ (১৯), চক লোকমানের মুগ্ধ (২০) ছাড়া আরও ৩-৪ জন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
প্রায় ৪ মাস আগে স্কুল চলাকালে ফাহিম স্কুলের টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় দেখে- এক ছাত্র স্কুলের এক ছাত্রীর হাত ধরে টয়লেটের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করছে। ফাহিম বিষয়টি স্কুলের শিক্ষককে বললে তিনি ওই ছাত্রকে শাসন করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়। তারা এ বিরোধ মীমাংসার জন্য গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে ফাহিমকে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ডাকে। ফাহিম সেখানে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা তাকে কিলঘুসি মেরে বালুর স্তূপে ফেলে দেয়।

এ সময় এজাহার নামীয় ২-৫ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতরা ফাহিমের হাত-পা ধরে রাখে এবং আসামি সিমান্ত হাতে থাকা চাকু দিয়ে আঘাত করে। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা রক্তাক্ত ফাহিমকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলে এলাহী জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা রাতেই থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। রাতভর অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে অন্যতম আসামি রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার ও হত্যার কারণ উল্লেখ করে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। রাব্বী সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Viewed 130 times

Spread the news
Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.
error: Content is protected !!