July 4, 2025

Daily Amar Vasha

উত্তর জনপদে সত্য প্রকাশে দৃঢ়

যিলহজ্জ মাসের ফযীলত ও করনীয়

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য কিছু মাস, দিন ও রাতকে ফযীলতপূর্ণ করেছেন। যেমন রামাযান মাসকে অন্য সকল মাসের উপর মহিমান্বিত করেছেন। আরাফাতের দিন ও ঈদের দিনকে অন্য দিনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্বদরের রাতকে অন্যান্য রাতের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত করেছেন। আসন্ন যিলহজ্জ মাস অনুরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মাস। যে মাসে বড় ইবাদত হিসেবে হজ্জ ও কুরবানী করা হয়ে থাকে। এই মাসের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বিস্তর আলোচনা এসেছে। সেখান থেকে যিলহজ্জ মাসের ফযীলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হ’ল।

 

জিলহজ মাস ইসলামি বর্ষপঞ্জির দ্বাদশ এবং শেষ মাস, যা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় একটি সময়। এই মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে হজ্ব, কোরবানি এবং আরাফাহর দিবসের কারণে।

 

১. কুরআন ও হাদিসে জিলহজ মাসের গুরুত্ব,

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ বলেন: “শপথ নিয়েছি ফজরের, আর দশ রাতের” (সূরা আল-ফজর: ১-২)

ইবনে আব্বাস (রাযি.) এবং বহু তাফসিরবিদের মতে, এখানে “দশ রাত” বলতে জিলহজের প্রথম দশদিনকে বোঝানো হয়েছে।

২. জিলহজের প্রথম দশদিনের ফজিলত

 

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আল্লাহর নিকট এই দশদিনের ন্যায় অন্য কোনো দিনে সৎকর্ম এত অধিক প্রিয় নয়।”

 

সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! জিহাদ কি এই দশদিনের আমলের সমান নয়?”

তিনি বললেন, “না, জিহাদও নয়; তবে এমন কেউ যে নিজের জান ও মাল নিয়ে বের হয়েছে এবং কিছুই ফিরে আসেনি অর্থাৎ (শহীদ হয়েছে)।” (বুখারি, হাদিস: ৯৬৯)

৩. আরাফাহ দিবস (৯ জিলহজ)

এই দিন হজের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আরাফাহর ময়দানে উপস্থিত থাকা।

যারা হজে নেই, তারা রোজা রাখলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গোনাহ মাফ হয়ে যায়।

রাসূল (সা.) বলেছেন: “আরাফাহ দিবসের রোজা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গোনাহের কাফফারা হয়।”(মুসলিম, হাদিস: ১১৬২)

৪. কোরবানির দিন (১০ থেকে ১৩ জিলহজ কোরবানি করা )

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কুরবানি এই দিনে আদায় করা হয়।ইব্রাহিম (আ.) এর ত্যাগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রাণী উৎসর্গ করার স্মরণে এই আমল।

৫. তাকবিরে তাশরিক বলা

৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসরের পর পর্যন্ত প্রতিটি ফরজ নামাজের পর বলা ওয়াজিব:

“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।”

৬. অন্যান্য নেক আমল

এই দশদিনে নিম্নোক্ত আমলগুলো বিশেষভাবে করার তাগিদ রয়েছে:-

বেশি বেশি তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলা

নফল রোজা রাখা, বিশেষ করে ৯ জিলহজ।কুরআন তিলাওয়াত কর, সালাত আদায়, বেশি বেশি সদকা করা।তওবা ও ইস্তেগফার করা।

 

 

 

মাও.মুফতি মোহাম্মাদ উল্লাহ্।

খতীব: চকলোকমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ বগুড়া।

সদর পরিচালক: সরকার বাড়ি তালিমুল কোরআন কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা চোপিনগড়, শাজাহানপুর, বগুড়া।শিক্ষা সচিব: জামেয়া ইউসুফিয়া মাদ্রাসা বগুড়া।

Viewed 3750 times

Spread the news
Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.
error: Content is protected !!