বগুড়ায় ঘটক মজিবর শেখকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মারপিট

স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া শেরপুরে নব বিবাহিত দম্পতির মাঝে বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছের সাথে বেঁধে মারপিটে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে কনের পরিবারের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটক মজিবর শেখ (৬৫) কে, উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে।
মারপিটের শিকার ঘটক মজিবর শেখ শেরপুর উপজেলার ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ঘটকের ছোট ভাই নজরুল শেখ বাদী হয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ৯ জুন সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সাথে শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। বিয়ের দিনই কনেকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বিয়ের কিছুদিন পরেই নব দম্পতির মাঝে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় কনের পরিবারের লোকজন।
মজিবর শেখ অভিযোগ করে জানান, তাকে উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেয়ার কথা বলে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরই তাকে প্রথমে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং পরে হাত বেঁধে গাছের সাথে বেঁধে গোবর মাখানো স্যান্ডেল ও লাঠি দিয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়।
পরবর্তীতে ছোট ভাই নজরুল শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটক মজিবর শেখ আসলে মেয়ের পরিবারের আত্মীয়, জহুরুল ইসলামের মামা। নাতনীর সংসারে সমস্যা হওয়ায় কথাবার্তার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা ঘটকের চিকিৎসার খরচ বহন করছেন। যেহেতু তারা আত্মীয়, তাই কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনে মামলা নেয়া হবে।
Viewed 2440 times