July 7, 2025

Daily Amar Vasha

উত্তর জনপদে সত্য প্রকাশে দৃঢ়

অতিরিক্ত বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে, ৩ জন নিহত ও হাফ ডর্জন অসুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়ায় অতিরিক্ত অ্যালকাহোল পানে ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে দুই জন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শুক্রবার দিনগত রাতে তাদের মৃত্যু ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলো, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালিত ছেলে আওরঙ্গজেব ওরফে চিনটু (৩৫) ও শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)। অন্য একটি সূত্র জানায় অতিরিয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার রাবেদ হোসেনের ছেলে আবেদ আলী নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বগুড়া মোহাস্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া বটতলা এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব চন্দ্র রায়ের ছেলে সনি রায় (৩০) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা প্লাস্টিকের বোতলে অ্যালকাহোল কিনে আনে। ওই দিন বিকেলেই চারজন এক সাথে অ্যালকাহোল পান করে। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পিলু আরও বলেন, পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে ভর্তি হয়।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাইফুর রহমান শাহীন বলেন, পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ডায়রিয়া এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনও শংকা মুক্ত না। অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ কি-না তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।
এদিকে আওরঙ্গজেব চিনটু’র পরিবারের একজন জানান, অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শুক্রবার বিকেলে ৩ টার দিকে চিনটু’কে স্থানীয় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সে কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বিকেল ৫ টার পর অসুস্থবোধ করলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সে মারা যায়। গত শুক্রবার দিনগত রাত ৩ টার পর রাসেলও মারা যায়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের উপ-পরিচালক
ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিনটু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিল। আর সনি নামে একজন ভর্তি আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে কি ধরণের সমস্যা রয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুইজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুইজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করেনি। তারা পুলিশকে কোন তথ্য দেননি। বেলা ৩ টার মধ্যে দুইজনের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।

” সম্পাদক কর্তৃক প্রকাশিত “

Viewed 1160 times

Spread the news
Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.
error: Content is protected !!