বগুড়া গাবতলীর সাবেক পাড়া এলএসডি কর্মকর্তা শাকিলের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ
রুহুল আমিন শাহিন, জেলা প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাবেক পাড়া এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল-এর বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতা এবং সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি-তে দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর দায়িত্বাধীন এলএসডি থেকে গত তিন মাস ধরে দরিদ্র কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের চাল ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি ডিনার পয়েন্টে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে, তার মান এতটাই খারাপ যে এটি মানুষের খাবার উপযুক্ত নয়। এই নিম্নমানের লাল চালের দানার অংশই বেশি। অভিযোগকারীরা বলছেন, এমন নিম্নমানের চাল খাদ্য গুদামে মজুদ থাকা এবং তা বিতরণের দেওয়া এলএসডি কর্মকর্তা এর দায়িত্বহীনতার প্রমাণ।
ক্ষুব্ধ কার্ডধারী ভোক্তারা জানান, এই চাল গরু-ছাগলও খাবে না, মানুষ কিভাবে খাবে। গত তিন মাস ধরে একই চাল পাচ্ছি। আমাদের কার্ড করা আছে বলে বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে।” ভোক্তাদের অভিযোগের তীর সরাসরি এলএসডি কর্মকর্তা শাকিল-এর দিকে। কারণ, গুদামের স্টক এবং বিতরণের মান নিশ্চিত করার প্রাথমিক দায়িত্ব তাঁরই। তিনি যদি সঠিকভাবে মান যাচাই করতেন, তবে এই অখাদ্য চাল গুদাম থেকে বের হয়ে আসত না।
সাবেক পাড়া এল এসডি কর্মকর্তা কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তখন তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আপনাদের কোনো কিছু জানার থাকলে উপজেলা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন, আমার বলার কিছু নাই।
তাঁর এই মন্তব্যকে সচেতন মহল মনে করছে, এটি দায়িত্ব এড়ানোর একটি কৌশল। যেহেতু চালটি তিন মাস ধরে নিম্নমানের বিতারিত হচ্ছে, ধরে নেওয়া যায় যে তিনি জেনে বুঝেই এই নিম্নমানের চাল বিতরণে দিয়েছেন অথবা গুদামের স্টকে এই চাল মজুদের সময় তিনি সঠিকভাবে মান যাচাই করেননি। তাঁর এমন আচরণ সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি-এর প্রতি তাঁর দায়িত্বহীনতা এবং অসচ্ছতার ইঙ্গিত দেয়।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার নীরবতাও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে এলাকাবাসীর জোর দাবি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। তারা এলএসডি কর্মকর্তা শাকিল-এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিম্নমানের চাল বিতরণের উৎস খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।
গাবতলীর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি-তে এমন নিম্নমানের চাল বিতরণ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল-এর নীরবতা প্রমাণ করে যে এই খাদ্য গুদামে বড় ধরনের দুর্নীতি বা চরম অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান।
Viewed 700 times


