December 17, 2025

Daily Amar Vasha

উত্তর জনপদে সত্য প্রকাশে দৃঢ়

মেকানিকস ফর নিউ এজ: পর্ব-১

ডেস্ক রিপোর্টঃ

‘মেকানিকস ফর নিউ এজ’ (সম্পূর্ণ এক নতুন তত্ত্ব) একবিংশ শতাব্দীর অগ্রযাত্রায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও সমাপ্তির বিজ্ঞানভিত্তিক বিষদ বর্ণনায় শতবছরের পুরোনো বেসিক সায়েন্সের সামগ্রিক, সহজ ও নিখুঁত রূপান্তর।

এই রূপান্তর কি সামগ্রিক এবং অত্যাবশ্যক: স্টিফেন হকিং রচিত ‘এ ব্র্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ গ্রন্থে সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, গ্যালিলিও, নিউটন, আইনস্টাইনের সূত্র বা তত্ত্বগুলোর একটি বিবর্তন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি ওই বিবর্তনমূলক সূত্রগুলোকে ব্যবহার করে মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও সমাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক সামগ্রিক বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন। এতে অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে। বিজ্ঞানের সীমা-পরিসীমা পেরিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অনধিকার চর্চা করা হয়েছে যুক্তিবিহীন কল্পনাতীত। যেমন- মহাবিশ্বের বাইরে আরও অনেক মহাবিশ্ব রয়েছে, মহাবিশ্বের উৎপত্তি মাইনাস থেকে, শূন্য থেকে, এনার্জি থেকে কিংবা পূর্ববর্তী মহাবিশ্বের ধ্বংসাবশেষ থেকে ইত্যাদি।

অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত এসব বর্ণনা একক মহাবিশ্বকে প্রতিনিধিতত্ত্ব করে না, কিংবা যুক্তিসংগত ভিত্তির ওপর বর্ণনা করে না। ডিম আগে না মুরগি আগে সৃষ্টি হয়েছিল— এ বর্ণনায় শতবছরের পুরোনো বিজ্ঞান যেন সবজান্তা, সীমা-পরিসীমার বাইরেও সে যেন সব বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ তাত্ত্বিক বিজ্ঞান প্রায়োগিক বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। যেখানে ল্যাবরেটরিতে শূন্য থেকেই কিংবা এনার্জি থেকেই মহাবিশ্ব— এমনকি মুরগি, ডিম ইত্যাদি উৎপাদন সম্ভব। টাইম ডাইলেশন, টাইম ট্রাভেল, টাইম মেশিন ইত্যাদির মতো বিষয়গুলোকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সীমাবদ্ধতা হিসাবে বিবেচনা না করে উৎকর্ষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

গ্যালিলিও এবং নিউটন জড়তার ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যা আইনস্টাইন জড়তা কাঠামো হিসাবে তার তত্ত্বসমূহে সমর্থন ও ব্যবহার করেছেন। নিউটনের তত্ত্বমতে, জড়তার কারণে স্থিরবস্তু অনাদিকাল স্থির এবং গতিশীল বস্তু বিনা অপারেটিং ফোর্সে (প্রযুক্ত বলের মান শূন্য হলেও) অনাদিকাল সমবেগে চলতে পারে। নিউটনের তত্ত্বমতে, ধারণা করা হয় যে, মহাজাগতিক বস্তুসমূহ যেমন গ্রহসমূহ সূর্যের চারপাশে জড়তার কারণে অনাদিকাল চলতে থাকে। আর এ কারণেই আইনস্টাইন পাশাপাশি চলমান দুটি ট্রেনের মধ্যে কোনটি সমবেগে চলমান ও কোনটি স্থির তা নির্নয় করতে ব্যর্থ। আইনস্টাইনের তত্ত্বমতে, আলোকরশ্মি বিনা অপারেটিং ফোর্সে (শূন্য ভর এ) অনাদিকাল চলতে থাকে।

‘মেকানিকস ফর নিউ এজ’  জড়তা বা জড়তার কাঠামোকে কোনক্রমেই সমর্থন করে না এবং বিজ্ঞানের নিত্যনৈমিত্তিক অবস্হাসমূহ বর্ননায় যুক্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা করে। ‘মেকানিকস ফর নিউ এইজ’ এর তত্ত্বমতে, জড়তা হচ্ছে কোনো বস্তুর ওপর একই সময়ে একাধিক প্রযুক্ত বা — এমনকি আলোকরশ্মিও অনাদিকাল চলতে পারে না। অপারেটিং ফোর্সের মান শূন্য হলে বস্তু স্থির থাকবে এবং অপারেটিং ফোর্সের মান শূন্য না হলে বস্তু চলমান থাকবে। নিউটন তার তত্ত্বগুলো মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ বলের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। আইনস্টাইন মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ ধারনাকে আরও সুসংহত করেছেন।

আইনস্টাইনের তত্ত্বমতে, বস্তুর ভর স্থান-কাল বক্রতা তৈরি করে এবং এই বক্রতার কারণে অন্য ছোটবস্তুগুলো আকৃষ্ট হয়। সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণার উৎপত্তিতে মহাকর্ষ বা অভিকর্ষজ বল গুরুতত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনা করে, বলা হয়ে থাকে এই বলের কারণে মহাবিশ্ব ক্রমাগত নিচের দিকে পতিত হয়, যে কারণে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণশীল বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আইনস্টাইনের তত্ত্বমতে, শূন্য থেকে পজিটিভ ও নেগেটিভ এনার্জি এবং পজিটিভ এনার্জি থেকে মেটার (বস্তু) ও নেগেটিভ এনার্জি থেকে এন্টিমেটার তৈরি হয়, যে কারণে মহাবিশ্বকে ক্রমাগত সম্প্রসারণশীল বিবেচনা করা হয়।

‘মেকানিকস ফর নিউ এইজ’-এর তত্ত্বমতে, মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ বল, বলের বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে এক ধরনের বল মাত্র, পৃথিবীর সব বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে না এবং বস্তুর ভর

এই রূপান্তর কীভাবে সহজ ও অত্যাবশ্যক: বলের গতিসূত্র, মহাকর্ষ বলের সূত্র, আপেক্ষিক তত্ত্ব, ভর-এনার্জি সমতা সূত্র মৌলিক বিজ্ঞানকে অত্যন্ত জটিল করে তুলেছে। মৌলিক বিজ্ঞান প্রকৃতি বিজ্ঞানের একটি সন্নিবেশিত অংশ, বিধায় প্রকৃতির সব বিষয়ই মৌলিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপন ও সবার নিকট বোধগম্য হওয়ার কথা। অথচ বিজ্ঞানকে আজ অনেক ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য ও কঠিন করে ফেলা হয়েছে। প্রকৃতির নিয়মকে বর্ণনা করার জন্য বিজ্ঞান তৈরি হয়নি বরং বিজ্ঞানের সূত্রে প্রকৃতির নিয়ম প্রতিপালিত ব্যাখ্যা করা হয়। বল প্রয়োগে বস্তু দূরতত্ত্ব অতিক্রম করে, বেগের সৃষ্টি হয় এই অতিসাধারণ বিষয়টি চলমান বিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ স্বীকার করতে পারে না। বলের পরিচয় তত্ত্বরনের মাধ্যমে, কিন্তু সমবেগে বস্তু কেন চলে তার উত্তর কখনই সহজভাবে পাওয়া যায় না। নিউটন ও আইনস্টাইনের তত্ত্বসমূহে বল ও সময়ের সহজ, প্রাকৃতিক ও যুক্তিসংগত সংজ্ঞায়ন এবং প্রমিতকরন করা হয়নি। কেননা, আইনস্টাইনের তত্ত্বে আলোকের বেগের মানকে একমাত্র প্রমিতমান ধরে সময়কে হিসাব করা হয়েছে। আলোকের বেগের মানকে একমাত্র প্রমিতমান বিবেচনায় সময়ের মান হিসাব করলে সমূহ ও অবশ্যম্ভাবী ভুল হবে কেননা, আলোকের বেগের মান ধ্রুবক এব

 

 

এই রূপান্তর কীভাবে নিখুঁত ও অত্যাবশ্যক: শতবছরের পুরনো বিজ্ঞান নিখুঁত নয়। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা নিয়েই সূত্রগুলোকে বাস্তবিক ক্ষেত্রসমূহে প্রয়োগ করা হচ্ছে। সূত্রগুলো একে অপরের সঙ্গে পরস্পর বিরোধিতা করছে— এমনকি একই সূত্র বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করছে। যেমন— পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের মান ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় এটি যেমন সত্য, তেমনি পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের মান অপরিবর্তনশীল বা ধ্রুবক, যখন যেভাবে প্রয়োজন ব্যবহার করা যায়। একইভাবে, বস্তুর ওপর প্রযুক্ত মহাকর্ষ বল বা অন্য যে কোনো বল, বস্তুর ভরের ওপর নির্ভর করে একই সঙ্গে পড়ন্ত বস্তুর ওপর প্রযুক্ত মহাকর্ষ বল, বস্তুর ভরের ওপর নির্ভরশীল নয়।

অর্থাৎ শতবছরের পুরোনো সূত্রগুলো নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড রক্ষা করতে পারে না। নিউটনের মহাকর্ষ বলের সূত্রমতে, পড়ন্ত বস্তু যতই নিচের দিকে পড়তে থাকে, ততই তার ওপর প্রযুক্ত বলের মান বাড়তে থাকে এবং নিউটনের গতিসূত্রমতে, বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের মান বাড়তে থাকলে বস্তুর তত্ত্বরন ক্রমাগত বাড়ার কথা কিন্তু হিসাবমতে, তা অপরিবর্তনশীল বা ধ্রুবক থাকে, যা নিঃসন্দেহে পরস্পরবিরোধী ও ত্রুটিপূর্ণ আচরণ। নিউটনের গতিসূত্র গতিশীল বস্তুর বা বস্তুর গতির ক্ষেত্রে এবং মহাকর্ষ বলের সূত্র, দুটি স্থির বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও সূত্র দুটিকে সমতায়ন করে নতুন উপজাত তৈরি করে গোঁজামিল দেওয়া হয়েছে। ‘মেকানিকস ফর নিউ এইজ’ মৌলিক বিজ্ঞানের এসব বিষয়কে ত্রুটিমুক্ত করে নিখুঁত রূপান্তর সম্পন্ন

Viewed 350 times

Spread the news
Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.
error: Content is protected !!